তীব্র যন্ত্রণার প্রকাশ দেখলাম আজ। আগেও দেখেছি বহুবার। যখন চিনতামনা।
এখনো জানিনা
ওর যন্ত্রণার কথা। কথা বলার সুযোগও আসেনি কোনো দিন।
খবরের কাগজে ওর ছবি দেখে জেনেছিলাম নাম তার ধীরেন | ধীরেন পাগলা।
বহুদিন
আগে দেখেছিলাম সেই রিক্ত জীর্ণ ধীরেনকে| কাস্তে হাতে | নিজের পথকেই প্রতিপদে কাস্তে দিয়ে মারতে মারতে যায়। সঙ্গে তীব্র ক্ষোভের প্রকাশ।
বলেছিলাম
- জাতে মাতাল তালে ঠিক। মারছে দ্যাখো এমন ভাবে যেন কাস্তের ধার নষ্ট নাহয়।
কথা শুনে প্রতিবাদী উক্তি - জীবনের তীব্র ব্যথা নাথাকলে এভাবে মানুষ পথ চলে না।
কথা শুনে চুপসে ছিলাম আমি।
আজ হঠাত দেখি তার সেই রূপ।
ধীরেন পাগলা ওই একই রাস্তায় ঘাড়ের গামছা দিয়ে রাস্তাকে পেটাতে পেটাতে চলেছে। প্রতিহিংসার বিস্ফোরণ যেন। বেশ করে একটা অন্যায় কে বা হত্যাকারীকে দিচ্ছে শাস্তি। সর্বশক্তির নিক্ষেপ প্রতিপদে। প্রতিহিংসায়।
এই দৃশ্য প্রায় দিন বিকেল বেলা। হয় পূবে নয় পশ্চিমে। সেই অর্থে পরিবর্তন
নেই। পরিবর্তন বলতে কাস্তের বদলে আজ নোঙরা গামছা।
অথচ সেদিন ওছিলো কত ধীর।শান্ত ধীরেন পাগলার থিতু হয়ে বাড়ি ফেরা।
ক্যামেরা
বন্দী সেই দৃশ্য আজও মনে আছে।
পশ্চিমে
মহানন্দাকে পিছনে রেখে এগিয়ে চলছে ধীরেন. সূর্য ডুবলো বলে পাহাড় ঘেঁসে নদীর কোণে।
বাম কাঁধে তিন কাঠি মাছ ধরা জাল।
রাস্তা
থেকে কুড়িয়ে নেওয়া আধ পচা পাকা আম খেতে খেতে বাড়ি ফেরা |
খবরের কাগজে ছাপা হয়েছিল সেই ছবি।
No comments:
Post a Comment