Saturday 24 August 2013

দার্জিলিং

দার্জিলিং 

তোমার ইচ্ছে পূরণ  হবে শূন্যস্থানে 
অসম মন্দির থেকে করুণা করো প্লিজ 

তোমার প্রেম স্মরণে রাখি 
নতজানু আশা দেবে দু:খ , দেবে উষ্ণতা 
আমি সহ্য করব সব... 

তোমার চোখের প্রেম কাজল জেনেও 
জানি না কেন ? 

মঙ্গলরূপ তুমি 
তবু কেন  শোক সাগরে স্নান করি ?
বিশ্ব আনন্দময় শোভাসুন্দর 
কাঞ্চনজঙ্ঘা ও তার হাসির দার্জিলিং 

তবু কেন দু:খ পায় আলাদা রাজ্যের দাবি 
বাসনা অনুগামী আন্দোলন 
 মোহবন্ধ মমতা হয়েও 
ছিন্ন  করো কঠিন আঘাত কেন্দ্রবিন্দুতে 
যখন চোখের জলে ধুয়ে যায় 
আরও একটা দিন  

শূন্য থেকে




নি:স্ব হয়ে এসো একদিন 
অবশ্যই শূন্য হাতে তুমি 
আসবে কার্যালয়ে 

শর্ত এক

নিশ্চয় জাগবে হারানো প্রেম 
শূন্য থেকে
জাতি সত্তার লড়াই 

তবে শর্ত একটাই 
নি:স্ব হয়ে আসবে তুমি আমার
কাছে একা 
- তৃতীয় পক্ষ নয় 

শর্ত দুই 
ক্রমশ প্রকাশ্য 

Tuesday 6 August 2013

রব

রব

প্রেমের দাবি করোনা তুমি  আজ
-  এমনকি স্বীকৃতি 

এখন চলছে আলাদা রাজ্যের দাবি 
চারিদিকে শুধু চাই চাই রব 

- রাষ্ট্র লোহার হাত 

ধ্যুত্ততেরী তাকাবোই না 
তোমার দিকে, নাথাক অনুরুক্তি
মমতা মায়ার খেলা…

Saturday 3 August 2013

একদিন দেখি

একদিন দেখি ওরা খেলা করে 
ব্যস্ত রাস্তার ধারে এক মন্দিরে
কখনও বারান্দার সিঁড়ি বেয়ে 
মাঠে 
দেখছি বেশ কিছুদিন 

এক্কাদোক্কা লুকোচুরি খেলা 
কখনো উদলা গায়ে এক 
শিশুকন্যার মারামারি  
মায়ের নামে পয়সা নিয়ে
মহানন্দার পাড়ে

এদেশে সিকি-আদুলির দাম নেই
এমনকি ভিখারীর হাতে  
তবু ওখানেই খেলা করে 
সব রঙের এক ডজন 
বস্তি শিশু 

বহুমানুষ আসে যায় মন্দিরে 
মনেমনে  কি সব বলে চায় 

কেউ চলন্ত যান থেকে কপাল
ঠুকে প্রনাম
কেউ আবার এক্কা
দোক্কার ঘরে ছুড়ে মারে
এক-দু'টাকার  কয়েন 


তখনি মজা
খেলা ছেড়ে দৌড় হুটোপুটি 
খুঁজে নিতে সবার আগে 
কেউ পায় কেউ পায়না
আবার কেউ  তাই দিয়ে 
লজেন্স কিনে ভাগ করে

দেখছি বেশ কিছুদিন 

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর 
বাড়ি যায় ওরা দিন শেষে 

উদলা গায়ে শিশুকন্যা 
অবশেষে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে
আবদার করে একটাকা 

লজেন্স খাবে  ...

এক পথিক মন্দিরে যায়না 
প্রনামও  করেনা কোনো দিন 
শুধু ওই শিশুর 
হাতেই একটা কয়েন দিয়ে
মজা পায় প্রায়দিন

দেখছি বেশ কিছুদিন 

একদিন দেখি
শিশুটিকে সেই পথিক একটা কয়েন  
মন্দিরে দেওয়ার  কথা বলে এগিয়ে 
চলছে ... আপন গতি রেখায়  

শিশুটি  খেলা ছেড়ে দেয় ছুট  
ছেঁড়া চপ্পল খুলে 
সিঁড়ি বেয়ে একবারে মন্দিরে
দানপাত্রের কাছাকছি 

এরপর ফিরে দ্যাখা 

পথিক দেখে ফিরেফিরে
ওর লাজুক হাসির চোখমুখ
নদীর জলের মত চঞ্চল
শিশুমন পথিকের প্রস্থানের
অপেক্ষায় 
একটা লজেন্সের জন্য