একদিন দেখি ওরা খেলা করে
ব্যস্ত রাস্তার ধারে এক মন্দিরে
কখনও বারান্দার সিঁড়ি বেয়ে
মাঠে
মাঠে
দেখছি বেশ কিছুদিন
এক্কাদোক্কা লুকোচুরি খেলা
কখনো উদলা গায়ে এক
শিশুকন্যার মারামারি
শিশুকন্যার মারামারি
মায়ের নামে পয়সা নিয়ে
মহানন্দার পাড়ে
মহানন্দার পাড়ে
এদেশে সিকি-আদুলির দাম নেই
এমনকি ভিখারীর হাতে
তবু ওখানেই খেলা করে
সব রঙের এক ডজন
বস্তি শিশু
বস্তি শিশু
বহুমানুষ আসে যায় মন্দিরে
মনেমনে কি সব বলে চায়
কেউ চলন্ত যান থেকেই কপাল
ঠুকে প্রনাম
ঠুকে প্রনাম
কেউ আবার এক্কা
দোক্কার ঘরে ছুড়ে মারে
এক-দু'টাকার কয়েন
এক-দু'টাকার কয়েন
তখনি মজা
খেলা ছেড়ে দৌড় হুটোপুটি
খুঁজে নিতে সবার আগে
খেলা ছেড়ে দৌড় হুটোপুটি
খুঁজে নিতে সবার আগে
কেউ পায় কেউ পায়না
আবার কেউ তাই দিয়ে
লজেন্স কিনে ভাগ করে
দেখছি বেশ কিছুদিন
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর
বাড়ি যায় ওরা দিন শেষে
উদলা গায়ে শিশুকন্যা
অবশেষে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে
আবদার করে একটাকা
আবদার করে একটাকা
লজেন্স খাবে ...
এক পথিক মন্দিরে যায়না
প্রনামও করেনা কোনো দিন
শুধু ওই শিশুর
হাতেই একটা কয়েন দিয়ে
মজা পায় প্রায়দিন
দেখছি বেশ কিছুদিন
দেখছি বেশ কিছুদিন
একদিন দেখি
শিশুটিকে সেই পথিক একটা কয়েন
মন্দিরে দেওয়ার কথা বলে এগিয়ে
চলছে ... আপন গতি রেখায়
চলছে ... আপন গতি রেখায়
শিশুটি খেলা ছেড়ে দেয় ছুট
ছেঁড়া চপ্পল খুলে
সিঁড়ি বেয়ে একবারে মন্দিরে
দানপাত্রের কাছাকছি
এরপর ফিরে দ্যাখা
সিঁড়ি বেয়ে একবারে মন্দিরে
দানপাত্রের কাছাকছি
এরপর ফিরে দ্যাখা
পথিকও দেখে ফিরেফিরে
ওর লাজুক হাসির চোখমুখ
নদীর জলের মত চঞ্চল
শিশুমন পথিকের প্রস্থানের
অপেক্ষায়
একটা লজেন্সের জন্য
অপেক্ষায়
একটা লজেন্সের জন্য
No comments:
Post a Comment